মোঃ ওয়ারদে রহমান:
সিদ্ধিরগঞ্জ’র ১৪৫টি বেসরকারী কিন্ডারগার্ডেন ও সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য সরকারী প্রণোদনাসহ ৬ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৯ জুন) সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মোঃ মজিবুর রহমান’র সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আরিফ হোসেন ঢালি’র সঞ্চালনয় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ বেসরকারী প্রাথমিক ও কিন্ডারগার্ডেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি এম. এ. সিদ্দিক মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা কিন্ডারগার্ডেন এসোসিয়েশনের সদস্য সচিব জি. এইচ. ফারুক এবং বাংলাদেশ বেসরকারী প্রাথমিক ও কিন্ডারগার্ডেন শিক্ষক সমিতির মহাসচিব শেখ মিজানুর রহমান ও সিদ্ধিরগঞ্জ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান প্রিন্সিপাল ইকবাল বাহার চৌধুরী ও শিক্ষা সচিব প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ আব্দুল ওদুদ, রুপগঞ্জ কিন্ডারগার্ডেন ও শিক্ষা উন্নয়ন সমিতির মহাসচিব লায়ন সালেহ আহমদ, সিদ্ধিরগঞ্জ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হুসাইন, শিফা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পরিচালক সাংবাদিক মোঃ শাহাদাৎ হোসেন স্বপন। সংগঠনের ওয়ার্ড প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মোঃ শাহিন, মোঃ নাসির বিন হানিফ, মোঃ আজহারুল ইসলাম, মোঃ জাবের হোসেন, মোঃ সোহেল, মোঃ খোরশেদ প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস মহামারীতে থমকে দাড়িয়েছে সারা পৃথিবী। এই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পতিরোধে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণা মোতাবেক ১৭ মার্চ থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সিদ্ধিরগঞ্জ’র ১৪৫টি বেসরকারী কিন্ডারগার্ডেন ও সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় বন্ধ হয়ে গেছে। যার কারণে চরমভাবে আর্থিক সংকটে পরেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত প্রায় ২৫০০ শিক্ষক-কর্মচারী আজ মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন।
লকডাউনের কারণে শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রাইভেট টিউশনও করতে পারছে না। এছাড়াও প্রায় ৯৫ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত। বাড়ি ভাড়া, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন, বিদ্যুৎ ও ওয়াসার বিল পরিশোধ করতে হয় ছাত্র-ছাত্রীদের বেতন থেকে। স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষক-কর্মচারীরা অর্থনৈতিকভাবে নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছে। কোনো শিক্ষক না পারে কারো কাছে হাত পাততে না পারে লাইনে দাঁড়িয়ে সাহায্য নিতে।
এমন পরিস্থিতিতে নিরুপায় হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর করতে শিক্ষকদের এই মানববন্ধন। আমার আশাবাদী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানবিকভাবে শিক্ষক-কর্মচারীদের সুদৃষ্টি এবং কার্যকরী পদক্ষেপের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিবেন।