বন্দর প্রতিনিধিঃ অন্যান্য বিদ্যুত বিতরণ প্রতিষ্ঠানের মত পল্লী বিদ্যুতের অবস্থান না হলে করোনাকালের এই মহা দুর্যোগে বহুল প্রশংসিত পল্লী বিদুতেরও দুর্যোগ নেমে এসেছে। সর্বোচ্চ গ্রাহক সেবার দাবিদার এই প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। অতিরিক্ত বিল ও প্রি-পেইড মিটারের বুঝতে না পারা বিল পদ্ধতি নিয়ে চলছে চরম গণ অসন্তোষ।
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ায় সরকার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা এবং এলাকাভিত্তিক লকডাউন কার্যকর করে। এ সময় গ্রাহকদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে আবাসিক গ্রাহকদের ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের বিদ্যুৎ বিল সারচার্জ ছাড়া ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হয়। ফলে অধিকাংশ গ্রাহক বিল পরিশোধ না করায় বিপুল পরিমাণে বকেয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
কিন্তু গ্রাহক তার ন্যায্য ও স্বাভাবিক বিল না পাওয়াতে বন্দর জোনাল অফিসে গ্রাহকরা ঝাড়ু মিছিল পর্যন্ত করেছে। এতে গ্রাহক ও কর্তৃপক্ষ সবাই বিপাকে পড়েছেন। কারণ অক্সিজেনের চেয়ে বিদ্যুত কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
এই অবস্থা কেন হয়েছে জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুতের নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর জোনাল অফিসরে ডিজিএম শম মিজানুর রহমান প্রতিবেদককে জানান। লকডাউনের কারনে গ্রাহকদের বিল নিয়মিত সংগ্রহ করতে না পারায় এক সাথে ও আনুমানিক ইউনিটের বিল করা হয়েছে। এতে যাদের কম ইউনিট আসতো তাদের একসাথে বিল করাতে ট্যারিফ চার্য বেশি হয়েছে। তবে তা অচিরেই ঠিক হয়ে যাবে।
এর পরেও যদি কারো অসন্তোষ থেকে থাকে তা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সমন্বয় করা হবে বলে জানান।